সে হিসিকে বলে ছিয়া
হাগুকে পুয়া
আমি তার আঙুলে সরগম রেখে
বর্ণ চিনতে বসি
সাঁঝের বেলায়...
ঠিক যেন তাকিয়ে আছে আমার ওড়ার দিকে
আমি কি উড়তে পারি
ডানা ভাঙা পিচবোর্ড-কবি
আমি কি পারি সীমানার পরিসীমা মুছে
কবীর ভজন হয়ে সাঁই নামে
রাধাকে ফতেমা ডেকে
ফতেমাকে রাধা নামে
উড়ানমন্ত্র লিখে দিতে!
ঠিক যেন তার চোখ
জন্মের সেতু হয়ে
কাপাশ তুলোর গায়ে,
সময় উড়েছে
ছায়া পথে, গানের অন্তরায়...
অথবা যেখানে আলোও পুড়ে যায়
আর
কৃষ্ণগহ্বর থেকে রব-নাম, রব্বানা
ত্রিকাল মন্ত্রে...
একটি পদ্মপাতায় একটি শিশিরের
পরিচিত উপমায়
মায়া হয়ে, পরম ডিঙিটি হয়ে
পারাপার গরিমায়,
ঠোঁট পেতে ওমে ওমে
উড়ানমন্ত্রে এক
কবিতার পাখিজন্মে
চেয়ে আছে তার চোখ
ঘোর তার, তার ঘর, আতপ-আহার
আমি কি উড়তে পারি গুরু হে
হে আমার একতারা, ভোরের তামাক
হে আমার পুড়ে যাওয়া চেতনার অক্ষত নাভিমূল
হে আমার মাটি, আমার আকাশ
আমারই বাংলাদেশ
ঘুম ডাকছে। ঘুমে রাক্ষসী নামুক। বাগানে বাবল ভাসার কথা ছিল। জল যে দিকে গড়াবে, আমি তার উত্তরে মাথা এলিয়ে... দিওয়ানা রঙের আড়ালে তার লাল নখে, গেঁথে দেবো প্রজাপতি, চেরিফল... আতর ঘনাবে! আর রিডগুলো গুঁড়ো গুঁড়ো, যেভাবে সময় ধুলো হয়, গুঁড়ো হয়। পিয়ানোয় পর্দা নামে। নিশা জাগে অ্যালবামে। রাক্ষসী আয়না হয়। আর ‘জাগতে রহো’ বলতে বলতে কারা যেন ঢুকে যায় গল্পের ন্যারো সেই গলিতে। প্রিজম ভঙ্গিতে। ল্যামিনেট-আড়ালে। তারপর ভোঁ-ভাঁ। ভোঁওওও সাইরেন বেজে বেজে হঠাৎ বেবাক! কোথাও যাওয়ার কোনো কথা ছিল না কখনো। বাবল্বাগানের সিন তুলে রেখে, শুধু একটা পাশবালিশ, আর এই এক চামচ সাদা সময়। ও হ্যাঁ অবশ্যই সেই লাল অবশেসন । ভায়োলেট ঘুমের বাগান। ঘুম ডাকছে। ঘুমে রাক্ষসী নামুক। তার এলোচুলে আঁশটে বেদনা রেখে ভাসাবো কনসাস, ওড়াবো অলীক চান্ট! পারদে-প্রলাপে। এখন ট্রানজিস্টার। খুঁড়ে পাওয়া প্রত্ন-বন্দর। ধোঁয়া উড়িয়ে ছেড়ে যাচ্ছি আহা উরু, বেদানার বেদনা-লাল, নাভির আইসকিউব, গ্রীবার ভায়োলিন, শ্বাসমালা আর, আর, আর, তাহার শরীরী-ঘ্রাণ, ঘ্রাণে তাঁত, তাঁত-ঋতু... ঋতু কি তাহার নাম? নাম কি রাক্ষসী তাহার? টুপি উড়িয়ে দিচ্ছি, গ্রামার খসিয়ে দিলাম। বাবল্ ভাসছে। আতর, কুহক... আলো নেভার আগেই বেরিয়ে পড়া ভালো।অতএব হুইসেল। অতএব ময়ূর সঙ্কেত। অতএব আর কিছু নয়। বিদায় বিদায়।
0 comments:
Post a Comment