গ্রাম্যমহিলা (১৯৫৩)
ছবিটির শিরোনাম 'বাঙালী নারী'(জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ) উপস্থাপনা প্রায় একই রকমের, বর্ণবিভাজন সামান্য আলাদা। এখানে লক্ষনীয় নারীটি মধ্যবয়স্ক। কিভাবে !!! উপস্থাপনা তো একই শুধু পার্থক্য নারীটির থুতনিতে জোড়া ভাঁজ (double chin) যা সাধারণত বনেদী বাড়ির দূর্গা/জগদ্ধাত্রী মূর্তিতে দেখা যায়, মাঝবয়সী মহিলা 'মা' এর প্রতিরূপ।
দুইজন সাঁওতাল রমণী (১৯৫১)
গাছের আড়ালে দাঁড়িয়ে আছে দুই সাঁওতাল রমনী। একজন গাছে হাত দিয়ে দেহের ভর রেখেছে অপরজন ধরে আছে তাঁর কাঁধ। দ্বিতীয় রমনীটির বাম কাঁখে আছে চুবড়ি/ঝুড়ি। যদি আমরা এই ছবিটি বিশ্লেষণ করি তবে দেখব কী শক্তিশালী বীজ লুকিয়ে আছে। জলরঙে আঁকা ছবিটি হয়তো অতি সাধারণই চিত্রকলার নমুনা হিসাবে থেকে যেত যদি না ঋষিপ্রতিম শিল্পীর স্পর্শ পেত। হালকা ওয়াশের উপর তুলির বলিষ্ঠ টানে রেখানির্ভর ছবি এটি। সমান্তরাল দুটি গাছের একটিতে প্রথম মেয়েটির ডানহাত স্পর্শ করে রয়েছে। গাছদুটির মধ্যে জঙ্গলের সম্ভবনা লুকিয়ে আছে। সমতা সঞ্চারিত হয়েছে অপর মেয়েটির ডানহাতে। সেখান থেকে নিতম্বের কাপড়ের সীমারেখা একটি সপাট রেখাতে। ছবিটি দেখলে মনে হবে মেয়েদুটির নিন্মাঙ্গ ছবির সীমারেখায় স্পর্শ করে নেই, অথচ মজার বিষয় হল তারা শূন্যে ভাসমানও নয়। ছবির ভ্যলুম ছবিটিকে শক্ত জমি দিয়েছে। এবার আসি ছবিটির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিকে। সামান্য কয়েকটি লালরঙের ছোট ছোট দলবদ্ধ পোঁচ/ছাপ। মেয়ে দুটির খোঁপাতে, পলাশফুলের অতিবিমূর্ত চিত্রকল্প, এক লহমায় ছবিটিকে অন্যতম সেরা ছবিতে পরিণত করল। পলাশফুল ফোটার সিজনে মানব মনে বয়ে যায় বসন্ত। গাছের আড়ালে দাঁড়ানো মেয়ে দুটি সেই বসন্তের আগমণে আহত ... অপেক্ষারত। সামান্য রঙের পোঁচ আর অনুভূতির পলাশফুল শিল্পশাস্ত্রের ভাষায় 'লাবণ্য' ছবিকে নতুন দর্শনে উত্তরণ ঘটায়।
thank u vaiya.
ReplyDeletearo onno চিত্র কর্মের ব্যাখ্যা কোথায় পাব????