Friday, July 31, 2015
পারদ
কোনো যুগে তোমার সাথে
ভালোবাসা ছির বলে
এখনো অকস্মাৎ দেখা হয়ে যায়
চেনা শহরের কার্নিশে স্তিমিত
আলোয়
যখন উৎসবে জ্বলে ওঠে এল সি ডি ল্যাম্প
তোমাকে খুব রহস্যময়ী লাগে
মনে হয় মায়া সভ্যতায়
এসে দাঁড়িয়ে পড়েছি
আমাদের মধ্যবর্তী কথাবার্তা নীল ও বিস্তৃত
যেন অশরীরী সময় ঘিরেছে
তৃষ্ণা জগৎ
তুমি কী লাবণ্যময়ী প্রচ্ছন্ন
ভাষায়
আমার হৃদয়ের সাহস নেই তোমাকে
ছুঁয়ে দেখে
কতটা পারদ উঠেছে তোমার
ও বুকে
পরনারী
প্রতিদিন এরকম চলতে থাকলে
একদিন বিপর্যয় ঘটে যাবে
জীবনে
অসম্পূর্ণ তোমাকে পাওয়ার রুক্ষতায়
সারারাত হেঁচকি ওঠে চাঁদজ্যোৎস্নায়
আন্দোলিত শরীরের ভেতর অতৃপ্ত
কাম
বাসনার রহস্য খুলতে গিয়ে
দেখি
তোমার পরিবেশ জুড়ে কালবৈশাখী
হয়ে যাওয়া
স্বচ্ছ বিকেল
অথচ আমার দোষ কোথায়
বলো---
রোজদিন দূরে সরে সরে
একদিন আমিও তো হিংস্র
হয়ে যেতে পারি
নিজেকে জুড়োতে গিয়ে যদি ধরি অন্য
নারী
নতুন পোস্টার
দূরে দূরে ওই সব গাছেদের
কাছে কোনোদিন যাইনি
গাঢ় সবুজ হতে হতে কালো
হয়ে গেছে চোখ
ওইখানে আলো আছে স্বচ্ছ
সকালের মতো
প্রকৃতি ডাকলে প্রান্তরে যাই,
রঙিন দিগন্ত
স্মৃতি উঠে আসে পুরনো
ডায়েরির পাত ছিঁড়ে
বর্ষার অঝোর বৃষ্টি এইসব
ছেঁড়া পাতা
পোস্টার করে এঁটে দিচ্ছে
বুকে
বুকের ভেতর আছে অসংখ্য
ক্ষত---
এইসব ক্ষতর অব্যক্ত কথা এখন
পুরনো কষ্টর সাথে জলছাপ
হয়ে
উঠে আসছে নতুন লেখার
পোস্টারে
বিষ
জীবন আমাকে ছোবল মেরে চলে যায়
তার বিষে বিষে শরীর নীল---
অথচ জীবন কী সুন্দর, সাতরঙে
মেশা
সমূহ ভূ-স্বর্গ যেন বহন করছে
জীবনের ডালপালায় সকালের রোদ
পাখি বসছে, কূজন-আদর
ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে কাজে যাচ্ছে মেয়েপুরুষ
সকলের চোখে-মুখে তৃপ্তির ছাপ
শুধু জীবন আমাকে ছোবল মেরে চলে যাচ্ছে
তার ফণায় ফণায় লুকোনো বিষ
আগুন ও জল্ একাকার করে দিচ্ছে---
আমার সাধ্য নেই নিজেকে স্থির করে রাখা
গর্ভ
শহরের কিনার ঘেঁসে আজও গ্রাম
অপ্রত্যন্ত ---
আমরা শহুরে মানুষেরা এখনও গ্রামীন
রক্তের ভেতর সবুজগন্ধ ও পাখি ডেকে যায়
সেই কবে ঝর্নার শীতল জলে গা ডুবিয়ে
শহরের পথে পা রেখেছিলাম
আমাদের পা-য়ের মাটি আজও উর্বর
শুধু কর্ষণ অযোগ্যতায় গোপন রয়েছে গর্ভ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
আত্মক্ষরণের ভাষা আছে, অভিব্যক্তির আড়াল আছে, আত্মবিস্তারের সচেতনতা আছে । কবিতার নিজস্ব ধারাতে কবি অনেকটাই সহজ সরল ।
ReplyDelete