Friday, July 31, 2015
শবমিছিল ভ্রুণতত্ত্ব
প্রথমে সবাই হাত ছোঁড়ে ওপরের
দিকে। যাহোক খড়কুটো, জলের বহমান
স্রোতের স্পর্ধা, নিদেন অলীক
হাওয়ার খোঁজেই।
গলা বসে গেলে বহুদিনের জমা কফ জড়ো হয় আর্ত সিগন্যালে। তারপর ড্রপসিন। তারপর
...
চেঙ্গিসের তলোয়ারের ঝিলিক মারা ফলায় বিক্ষত হয়ে কবে যেন পড়েছিল নিরেট লাশ। বহু
নদী শুকিয়ে বালিখাত, বহু নদী বিষাক্ত
কোবরার বাসা।
একখানা সবেধন নীলমণি চশমা চাপে চাপে চৌচির কাচকণা। পকেটের যা কিছু রসদ
আলাদিনের জিনের সাথেই কবেই ছিনতাই হয়ে গেছে।
মাথার খুলি থেকে গোড়ালির হাড় চাপে চাপে কাগজ হতে হতে ছিঁড়েখুড়ে ভেঙেচুরে
ফর্দাফাই। অস্তগামী সূর্যরঙ জলীয় দ্রবণ ছড়িয়ে প্যাচপ্যাচে কাদা হয়েছিল
পুর্বানুরাগে, এখন তাও ফসিল।
রাস্তার ডান বাম মাঝ সব জুড়ে কেবলই শবের লংমার্চ সেই বার্বেরিয়ান এরা থেকেই।
অবরোধ চক্কর এক্সপ্রেসওয়ে
এই যে ঝাড়া দেড়ঘণ্টা বাসের সিটে
উসখুস,
এদিক ওদিক লচক্কা মাল ফাল
ফিরিতে দেখেও
রীতিমতো টায়ার্ড। দুই কি
তিনজনের ফূর্তির
জোগানে শালা আস্ত রামপাঁঠার
ঝুন্ড রাস্তায়
থেবড়ে ঝালমুড়ি ফুরি সাঁটিয়ে
মেজাজে জাপানি
তেলের রগরগে টক ঝাল মিষ্টি
কাহানীর
সোয়াদ নিচ্ছে হাত পা সবুজে
ছড়িয়ে।
ঠিক মোড়ের পিনপয়েন্টে কাক চড়াই
হাগা
শোভিত কোমায় চলে যাওয়া অস্পষ্ট
হেব্বি
ভিআইপি মনে মনে গাল পাড়ছে
বেজাতিকে।
বাসটা দাঁড়িয়েই আছে, তার সামনে বীর্যশূন্য
ভেড়ার পালের দল লাইন দিয়ে,
কারো ট্যাঁফো করার হিম্মতও নেই।
বীর বালকদের অফুরান কথা
মাইক্রোফোনের সামনে
মিডিয়ার সামনে কামুক গতিতে
এগোয়।
বসে থাকতে থাকতে কশেরুকার
প্রান্তিক
টার্মিনালের মাঝখানে আঁকাবাঁকা
শেকড় বেরোয়
বাদামী ভীতু লুচ্চা। সামনের পড়ে
থাকা
এক্সপ্রেসওয়ের বুকে পেটে
পিএনপিসির
জম্পেশ লাইভ টেলিকাস্ট চলতে
থাকে।
শাল্লা আপনি বাঁচলে বাপের নাম!
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment